চাঁচল

পাইপলাইন বসলেও দেখা নেই জলের, তীব্র জলকষ্টে ভোট বয়কটের ডাক বাসিন্দাদের

 


জল সরবরাহের জন্য গ্রামজুড়ে পাইপলাইন ও সব বাড়িতে কল বসানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত জল এল না। পবিত্র রমজানের মধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবে ব্যাপক জলকষ্টে এলাকাবাসী। লোকসভা ভোটের মুখে জলের দাবিতে ভোট বয়কটের দাবি তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা। এই ছবি মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধঞ্জনা গ্রামে।

    জানা গিয়েছে, এই গ্রামে প্রায় হাজার খানেক মানুষের বসবাস। বছর দুয়েক আগে ওই গ্রামে জনস্বার্থ কারিগরি দপ্তর (PHE)-র পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ লাইন ও নলকুপ বসানো হয়। কিন্তু দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেই পাইপের নল দিয়ে এক ফোটাও জল পড়ে না। গ্রামের পাশে একটি পানীয় জলাধার সেটিও বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তীব্র গরমে পানীয় জলের সংকটে ভুগছে গোটা গ্রাম। গ্রামে জলের পরিষেবা চালু হোক এই দাবিতে বহুবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এবং ব্লক  প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সমস্যার কথা ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনরকম হেলদোল নেই প্রশাসন কিংবা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের। বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। লোকসভা ভোটের মুখে গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা না চালু হলে গ্রামের কোন ভোটার ভোট দিতে যাবেন না বলে সংকল্প নিয়েছেন। পাশাপাশি কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী যদি গ্রামে ভোট ভিক্ষা চাইতে আসে তাহলে তাকে ঝাঁটা মারার নিদান নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখন পবিত্র রমজান মাস চলছে। তার মাঝেই জলসংকট। প্রশাসনকে জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। তাই তারা ঠিক করেছেন তারা ভোট দিবেন না, কেউ যদি ভোট চাইতে আসে তাকে ঝাঁটা মেরে গ্রাম থেকে বিদায় করবেন।

 

    যদিও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় ওই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য এরশাদ আজম। তিনি জানান, তিনি নিজেও এই জল সংকটের কথা উপর মহলকে বারবার জানিয়েছেন। কেন যে কাজ হচ্ছে না তা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না।

 

    অন্যদিকে গ্রামের দ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা চালু করা হবে বলে আশ্বাস বাণী শুনিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন তিনি সমস্যার কথা শুনেছেন, দ্রুত সেই গ্রামে বাড়ি বাড়ি যাতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছায় তা তিনি দেখবেন।